রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:এবার খোদ এক শিক্ষকই বাল্যবিয়ের মতো আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নলছিটি উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায়। ১৫ বছর ৩ মাস বয়সী এক কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেছেন ওই শিক্ষক। নলছিটি ফেরিঘাট এলাকায় কনের নিজ বাড়িতে গত ৭ মার্চ
(বৃহস্পতিবার) রাতে সরকারি নলছিটি ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শান্তা দে’র সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সৌরভ দাস শুভ্রর বিয়ে সম্পন্নহয়।
বিয়ের পরদিন হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী কনের বাড়িতে বর-কনের অবস্থান করার কথা থাকলেও বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ৮ মার্চ (শুক্রবার) সকালে তারা নলছিটি ছেড়ে চলে যায়।
কনে শান্তা দে নলছিটি উপজেলার ফেরিঘাট এলাকার শেখর চন্দ্র দে’র কন্যা। বয়স গোপন করে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হওয়ার খবর চাউর হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তড়িঘড়ি করে আয়োজন করেন শেখর চন্দ্র দে। বিয়ে অনুষ্ঠানে এলাকার শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এ বাল্যবিয়ের নেপথ্যে দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাস জড়িত ছিলেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সরকারি নলছিটি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম কবির জানান, শান্তা দে একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার রোল নং- ২৩৮। এসএসসি সার্টিফিকেট ও ভর্তির সময় কলেজে জমা দেয়া তথ্যানুযায়ী,
শান্তার জন্ম তারিখ ২০০৩ সালের ৮ ডিসেম্বর।
এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এরপরেও যদি বিয়ে সম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply